শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন অনুমোদন ছাড়াই ত্রিশালে স্থানান্তর, বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন অনুমোদন ছাড়াই ত্রিশালে স্থানান্তর, বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

জাহাঙ্গীর আলম তপু,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের মাসকান্দায় বন্ধ হওয়া মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশন নামের এক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স জালিয়াতির মাধ্যমে গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে জমি ও কাগজপত্র জাল জালিয়াতি, মিথ্যা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান ত্রিশালে স্থানান্তরের নামে কনস্ট্রাকশন কাজ চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এঘটনায় ২০ মে – ২০২৪ ইং সংক্ষুব্ধদের পক্ষ থেকে এই অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ ও সরেজমিনে জানা যায়, ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ ত্রিশালে বাগান এলাকায় এই ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করতে গেলে জনমনে প্রশ্ন উঠে। একই অভিযোগে ইতিপূর্বে ভালুকায় সি স্টোর এলাকায় একই কর্মকান্ড অর্থাৎ ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করতে চেষ্টা করে। এলাকাবাসীর অভিযোগে বন্ধ করতে বাধ্য হয়। সরকারি নিয়ম নীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ত্রিশাল বাগান এলাকায় একই সংকট সৃষ্টি করায় এবং ফিলিং স্টেশন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে বন্ধ করার আবেদন জানানো হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মাসকান্দায় মালিকানা দ্বন্দ্বে মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশনের জমি বিক্রি করে দেয় মালিক কর্তৃপক্ষ নূর হোসেন গং। চতুর চালাক আব্দুর রশিদ সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ক্রয় করে সেই জমি বিক্রির তথ্য গোপন করে। ত্রিশালের বাগানের বাসিন্দা ইলিয়াছ এর নিকট থেকে জমি ভাড়া নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পেট্রোলিয়াম কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে।

বাগানের বাসিন্দা ইলিয়াস জানান, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভালুকার আব্দুর রশিদ সাহেব ভাড়া নিয়ে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে মোমেনশাহী ফিলিং স্টেশনের মালিক নূর হোসেনের মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। আব্দুর রশিদের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার তার বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাকেও একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর আসেনি।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, এমন কোন ফিলিং টেশন নির্মাণ হচ্ছে কিনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চেয়ারম্যান মোঃ আমিন উল আহসান জানান, আমার কাছে কোন তদন্ত আসেনি। মন্ত্রণালয় থেকে কোন অভিযোগ তদন্ত আসলে প্রমাণ হলে লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |